SEO Bangla Tutorial - সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর ক্ষেত্রে সবচাইতে Common ১০ টি ভূল! - Template no 042
SEO Bangla Tutorial - সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর ক্ষেত্রে সবচাইতে Common ১০ টি ভূল!
SEO Bangla Tutorial - সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর ক্ষেত্রে সবচাইতে Common ১০ টি ভূল!
SEO Bangla Tutorial : কনটেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইটকে যথাযথভাবে optimize করার উপর একটি ওয়েবসাইটের সফলতা নির্ভর করে। একজন অন-লাইন কনটেন্ট মার্কেটার তার ওয়েবসাইটের SEO সংক্রান্ত বিষয়গুলি যত সুক্ষভাবে পালন করতে পারবেন, Search ইঞ্জিন তার ওয়েবসাইটকে তত বেশী মূল্যায়ন করবে।
প্রযুক্তির উন্নয়নের বিকাশের সাথে সাথে Search  ইঞ্জিনের বিভিন্ন নিয়ম প্রতিনিয়ত আপডেট এবং উন্নত হচ্ছে। সেই সাথে সবাই Search  ইঞ্জিনের শীর্ষে স্থান পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছেন। Search ইঞ্জিনের আধুনিকায়নের ফলে Search রেজাল্টের শীর্ষ তালিকায় টিকে থাকার প্রতিযোগিতায় ওয়েবমাষ্টাররাও বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন। Search ইঞ্জিনের এলগরিদম আপডেটের ফলে অনেক ভালমানের ওয়েবসাইট প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় তাদের ভিজিটর কমে যাচ্ছে। যার ফলে অনেক ইন্টারনেট মার্কেটার তার অন-লাইন ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন।


প্রতিযোগিতার এই সময়ে আবার অনেকে ভালভাবে SEO বুঝতে না পারার কারনে কিছু Common ভূল করছেন, যেগুলি তার ওয়েবসাইটকে Search রেজাল্টের তালিকায় আরও পিছনে ফেলে দিচ্ছে। আপনি সাধারণ সেন্সে বিষয়টি চিন্তা করুন যে, প্রতিযোগিতার এই সময়ে যেখানে SEO সঠিকভাবে করার পরেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সেখানে ভূল এসইও করলে আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইটের কি অবস্থা হবে? সচারাচর একজন আর্টিকেল পাবলিশার যে ধরনের ভূল করে থাকেন, আমরা আজ সেই ভূলগুলি নিয়ে আলোচনা করব।


১. ভূল Keyword নির্বাচন

সঠিকভাবে Keyword নির্বাচন করতে না পারাটা হচ্ছে সবচাইতে Common একটি ভূল। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন আর্টিকেল পাবলিশার Keyword নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন গুরুত্ব না দিয়ে বা Keyword রিSearch  না করে একটি পোষ্ট লিখতে শুরু করে দেন। এতেকরে পোষ্টের অভ্যন্তরে ভালমানের আর্টিকেল থাকা সত্বেও সঠিকভাবে উপযুক্ত Keyword নির্বাচন না করার কারনে কাঙ্খিত পোষ্টটি Search  ইঞ্জিনের ভাল অবস্থানে থাকতে পারে না। আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখতে বসবেন সেটা লিখা শুরু করার পূর্বে ভালভাবে Keyword যাচাই-বাছাই করে নিবেন যে, আপনার কাঙ্খিত বিষয়ে কি ধরনের কীওয়ার্ডগুলি অন-লাইনে বেশী Search হচ্ছে এবং কোন ধরনের কীওয়ার্ড এর গুরুত্ব কতটুকু ইত্যাদি ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে আপনি যত সঠিক ও উপযুক্ত Keyword নির্বাচন করতে পারবেন আপনার পোষ্টটি Search  ইঞ্জিনের সবার শীর্ষে অবস্থান পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

২. Keyword Stuffing

অধিকাংশ ওয়েবমাষ্টারগণ মনে করে থাকেন একটি আর্টিকেল লিখার সময় প্রতিটি বাক্যের মধ্যে Keyword রাখতে পারলে ভিজিটর বেশী পাওয়া যাবে। যার ফলে দেখা যায় একজন আর্টিকেল পাবলিশার তার পোষ্টের অভ্যন্তরে অযথা অপ্রয়োজনীয় জায়গাতে Keyword ব্যবহার করছেন। এ ক্ষেত্রে একটি পোষ্টে অত্যাদিক বার Keyword ব্যবহারের কারনে Search  ইঞ্জিন পোষ্টটি স্প্যাম হিসেবে মার্ক করে নেয়। এতেকরে একজন আর্টিকেল পাবলিশার একটি ভালমানের পোষ্ট লিখা সত্বেও Search  ইঞ্জিন হতে ভাল ফলাফল পায় না। আপনি একটি আর্টিকেল লিখার সময় Keyword Density টা ৫% থেকে ৬% এর মধ্যে রাখার জন্য চেষ্টা করবেন।

৩. অপ্রাসঙ্গিক Keyword ব্যবহার

 অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন আর্টিকেল পাবলিশার খুব সুন্দর করে একটি post লিখেছেন কিন্তু তার এই পোষ্টটির জন্য যে Keyword নির্বাচন করেছেন সেটি না হয়ে অন্য keyword হওয়া উচিত ছিল। এ ক্ষেত্রেও পোষ্টটি Search  ইঞ্জিনে ভাল র‌্যাংক করতে পারে না। কারণ Search  ইঞ্জিন সবসময় চায় Keyword Related আর্টিকেল। স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করুন যে, আপনি “এন্ড্রয়েড” টপিক নিয়ে একটি post লিখছেন কিন্তু পোষ্টের ভীতরে এন্ড্রয়েড বিষয়ের চাইতে উইন্ডোজ বিষয়ে বিশী লিখা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আপনি পোষ্টটি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন। যদিও বিষয়টি আমার উদাহরনের মত হুবহু হয় না, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর কাছাকাছি হয়ে থাকে। এ বিষয়টি ভালভাবে মাথায় রাখতে হবে আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখছেন সেই বিষয়টিকে পোষ্টের ভীতরে বেশী প্রাধান্য দিতে হবে।

৪. Non-Original Content

কারও ব্লগ/ওয়েবসাইটের content কপি না করে নিজে যে বিষয়ে পরিপূর্ণ অভীজ্ঞতা রাখেন সে বিষয়ে ভালমানের ইউনিক কনটেন্ট লিখার জন্য আমি সবসময় জোড়ালভাবে সবাইকে পরামর্শ দিয়ে থাকি। কারণ ব্লগে ভিজিটর পাওয়ার জন্য সহজ ও প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ভালমানের ইউনিক কনটেন্ট। Search  ইঞ্জিনের আধুনিকায়নের ফলে সকল Search  ইঞ্জিনই এখন খুব সহজে copy করা আর্টিকেল মার্ক করে নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনি যত চালাকী করে অন্যের কনটেন্ট আপনার ব্লগে পাবলিশ করেন না কেন, আপনার ব্লগের কনটেন্ট Search  ইঞ্জিন খুব সহজে চিনে নিতে পারবে। আপনি যখন ব্লগে নিত্য নুতন unique কনটেন্ট ব্যবহার করবেন তখন এই কনটেন্ট আপনার ব্লগে ভিজির নিয়ে আসতে সক্ষম হবে। অন্যের blog থেকে কনটেন্ট কপি করে আপনার ব্লগে ব্যবহার করলে কোন ভাবেই সফল হতে পারবেন না।

৫. Title Tags ও Meta Descriptions ভূল করা

Search  ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে এ দুটি ট্যাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ Search  ইঞ্জিনে যখন কোন Keyword ব্যবহার করে কিছু Search  করা হয়ে থাকে তখন Search  ইঞ্জিন সর্বপ্রথম পোষ্টের Title Tag খোঁজে থাকে। এ ক্ষেত্রে Title Tag এর ভীতরে Keyword পেয়ে গেলে আপনার পোষ্টটি Search  রেজাল্টে সহজে চলে আসবে। অন্যদিকে Title Tag এর মধ্যে Keyword টি পাওয়া না গেলে তখন Search  ইঞ্জিন Meta Descriptions এর অভ্যন্তরে কীওয়ার্ডটি খোঁজে থাকে। যদি Meta Descriptions এর মধ্যে Keyword টি পাওয়া যায় তাহলেও Search  রেজাল্টে পোষ্ট স্থান পাওয়ার অধিক সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। সে জন্য আমি বলব এ দুটি অংশ লিখার সময় অবশ্যই আপনার কাঙ্খিত Keywords এর সমন্বয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে Title Tags এবং Meta Descriptions লিখবেন।

৬. Back Links না থাকা

Search  ইঞ্জিনের কাছে আপনার ব্লগের মূল্যবোধ বৃদ্ধিতে Back Links অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। অধিকাংশ bangla  ব্লগাররা এ বিষয়টিকে কোন গুরুত্ব দেন না। অথচ আপনার ব্লগটি যদি ভালমানের ওয়েবসাইট/ব্লগের সাথে link  করা থাকে তাহলে ঐ ওয়েবসাইট হতে আপনার ব্লগে Link Juice বয়ে নিয়ে আসবে। সে জন্য শুধুমাত্র নিয়মিত post করে বসে থাকলে হবে না। নতুন post করার পর আপনার পোষ্টটির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে এমন ভালমানের ব্লগের সাথে আপনার পোষ্ট বিভিন্ন যুক্তির মাধ্যমে ঐ ব্লগের সাথে লিংক করতে পারেন। এটি আপনার পোষ্টটিতে ট্রাফিক বৃদ্ধিতেও সক্রিয়ভাবে অবদান রেখে যাবে।

৭. Internal Links না থাকা

Blog পোষ্টের ভীতরে Internal Links না থাকাটা হচ্ছে আরেকটি Common Mistake. আপনি যদি এ বিষয়টি সবসময় এড়ীয়ে চলেন, তাহলে আমি বলব আপনি সবচাইতে বড় বোকামি করছেন। কারণ এ বিষয়টির জন্য কোন ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয় না। শুধুমাত্র post করার সময় আপনার নতুন পোষ্টটির সাথে কিছুটা মিল রয়েছে এমন post গুলি Anchor Text এর মাধ্যমে Link করে দিতে পারেন। এটি Search  ইঞ্জিন Crawler-কে আপনার নতুন পোষ্টটি দ্রুত Crawl করে Index হতে সাহায্য করবে। এ বিষয়টি যদিও আপনাকে সরাসরি Search  ইঞ্জিন হতে ভিজিটর এনে দিতে সক্ষম হবে না কিন্তু Search  ইঞ্জিন বা অন্য কোথা হতে আগত ভিজিটরদের ব্লগের অন্য পোষ্টগুলিতে ভিজিট করানোর মাধ্যমে দীর্ঘ সময় অবস্থান করিয়ে Page View বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।

৮. Non-Responsive ও Non-Mobile Friendly ডিজাইন

Google সম্প্রতি Mobile Friendly ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য তাগিদ দিচ্ছে। কারণ মানুষ এখন কম্পিউটারের অনেক কাজই মোবাইলের মাধ্যমে সেরে নেয়। তাছাড়া গুগল গত এপ্রিল/২০১৬ মাসে ঘোষনাও দিয়েছে যাদের ব্লগ Mobile Friendly নয়, তাদের ব্লগ/ওয়েবসাইট SEO এর ক্ষেত্রে অনেক বিরূপ প্রভাব পড়বে। আপনার ওয়েবসাইটটি যদি এখনো সেই পুরনো যুগের ন্যায় শুধুমাত্র কম্পিটার ভার্সন হয়ে থাকে, তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ছোট ডিভাইস হতে ভিজিটর পাওয়ার আশাই করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে আপনার ব্লগে বড় ধরনের ট্রাফিক পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। কাজেই একজন ভালমানের ওয়েব ডেভেলপারের মাধ্যমে আপনার ব্লগটি Responsive এবং Mobile Friendly ডিজাইন করে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

৯. Social Media ব্যবহার না করা

বর্তমান সময়ে সোসিয়াল মিডিয়ার ব্যবহার এতই ব্যাপাক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যে, সবাই ওয়েবসাইটে ট্রাফিক পাওয়ার ক্ষেত্রে social media সাইটগুলিকে বড় ধরনের সোর্স হিসেবে ব্যবহার করছেন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার পোষ্টগুলি ভালমানের সোসিয়াল মিডিয়াতে share না করেন, তাহলেও বড় ধরনের ট্রাফিক হতে বঞ্চিত হবেন। আপনার ওয়েবসাইটের নামে বিভিন্ন ধরনের social মিডিয়াতে একটি পেজ তৈরি করে ওগুলিতে পোষ্ট শেয়ার করে এ কাজটি করতে পারেন। তাছাড়াও সোসিয়াল মিডিয়াতে বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন করে আপনার পোষ্ট শেয়ার করার মাধ্যমে ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে পারেন।

১০. ট্রাফিক Analytics না করা

আপনার ব্লগে কোন্ ধরনের সোর্স হতে কি পরিমানে ট্রাফিক পাচ্ছেন এবং কি ধরনের কীওয়ার্ড এর মাধ্যমে Search  ইঞ্জিন হতে ট্রাফিক আসছে ইত্যাদি সম্পর্কে নিয়মিত পর্যালোচনা না করাটাও একটি Common Mistake. আপনি হয়ত বলতে পারেন এ বিষয়টি Search  ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সাথে জড়িত নয় বা ট্রাফিক বৃদ্ধিতে কোন অবদান রাখবে না। হ্যা, যদিও এটি ট্রাফিক বৃদ্ধিতে সরাসরি কোন অবদান রাখবে না, তবে এটি রিSearch  করার মাধ্যমে আপনার ব্লগের ট্রাফিক সোর্স, keyword সহ আরো বেশ কিছু বিষয়ে ধারনা নিয়ে ভবিষ্যতে আপনার কি করা উচিত বা কি ধরনের কীওয়ার্ড নিয়ে পোষ্ট করা প্রয়োজন সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারনা নিতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বহুল ব্যবহৃত এবং সবচাইতে জনপ্রিয় একটি টুলস হচ্ছে Google Analytics. আপনি ইচ্ছে করলে খুব সহজে এটি যে কোন ধরনের website কিংবা ব্লগে যুক্ত করে নিতে পারবেন। এই টুলসটি হতে খুব অল্প সময়ে একটি ওয়েবসাইটের বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যায়।

সর্বশেষঃ SEO সংক্রান্ত উপরের ১০ টি বিষয়  মাথায় রেখে একজন কনটেন্ট মার্কেটার বা online মার্কেটার তার ওয়েবসাইটটি যদি যথাযথভাবে পরিচালনা করতে পারেন, তাহলে তিনি খুব সহজে যে কোন ভালমানের ওয়েবসাইটের সাথে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিয়ে Search  ইঞ্জিন হতে পর্যাপ্ত ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন। একজন ওয়েবমাষ্টার যতক্ষণ পর্যন্ত এ ভূলগুলি সংশোধন করে আর্টিকেল পাবলিশ না করবেন, ততক্ষন পর্যন্ত তিনি Search  ইঞ্জিন হতে কিছুতেই ভালমানের ফলাফল পাওয়ার আশা করতে পারবেন না।

Credit https://www.banglatechblog.com/2020/04/seo-bangla-tutorial-common.html

SEO Bangla Tutorial - সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর ক্ষেত্রে সবচাইতে Common ১০ টি ভূল!

SEO Bangla Tutorial - সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর ক্ষেত্রে সবচাইতে Common ১০ টি ভূল!
SEO Bangla Tutorial - সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর ক্ষেত্রে সবচাইতে Common ১০ টি ভূল!
SEO Bangla Tutorial : কনটেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইটকে যথাযথভাবে optimize করার উপর একটি ওয়েবসাইটের সফলতা নির্ভর করে। একজন অন-লাইন কনটেন্ট মার্কেটার তার ওয়েবসাইটের SEO সংক্রান্ত বিষয়গুলি যত সুক্ষভাবে পালন করতে পারবেন, Search ইঞ্জিন তার ওয়েবসাইটকে তত বেশী মূল্যায়ন করবে।
প্রযুক্তির উন্নয়নের বিকাশের সাথে সাথে Search  ইঞ্জিনের বিভিন্ন নিয়ম প্রতিনিয়ত আপডেট এবং উন্নত হচ্ছে। সেই সাথে সবাই Search  ইঞ্জিনের শীর্ষে স্থান পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছেন। Search ইঞ্জিনের আধুনিকায়নের ফলে Search রেজাল্টের শীর্ষ তালিকায় টিকে থাকার প্রতিযোগিতায় ওয়েবমাষ্টাররাও বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন। Search ইঞ্জিনের এলগরিদম আপডেটের ফলে অনেক ভালমানের ওয়েবসাইট প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় তাদের ভিজিটর কমে যাচ্ছে। যার ফলে অনেক ইন্টারনেট মার্কেটার তার অন-লাইন ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন।


প্রতিযোগিতার এই সময়ে আবার অনেকে ভালভাবে SEO বুঝতে না পারার কারনে কিছু Common ভূল করছেন, যেগুলি তার ওয়েবসাইটকে Search রেজাল্টের তালিকায় আরও পিছনে ফেলে দিচ্ছে। আপনি সাধারণ সেন্সে বিষয়টি চিন্তা করুন যে, প্রতিযোগিতার এই সময়ে যেখানে SEO সঠিকভাবে করার পরেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সেখানে ভূল এসইও করলে আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইটের কি অবস্থা হবে? সচারাচর একজন আর্টিকেল পাবলিশার যে ধরনের ভূল করে থাকেন, আমরা আজ সেই ভূলগুলি নিয়ে আলোচনা করব।


১. ভূল Keyword নির্বাচন

সঠিকভাবে Keyword নির্বাচন করতে না পারাটা হচ্ছে সবচাইতে Common একটি ভূল। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন আর্টিকেল পাবলিশার Keyword নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন গুরুত্ব না দিয়ে বা Keyword রিSearch  না করে একটি পোষ্ট লিখতে শুরু করে দেন। এতেকরে পোষ্টের অভ্যন্তরে ভালমানের আর্টিকেল থাকা সত্বেও সঠিকভাবে উপযুক্ত Keyword নির্বাচন না করার কারনে কাঙ্খিত পোষ্টটি Search  ইঞ্জিনের ভাল অবস্থানে থাকতে পারে না। আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখতে বসবেন সেটা লিখা শুরু করার পূর্বে ভালভাবে Keyword যাচাই-বাছাই করে নিবেন যে, আপনার কাঙ্খিত বিষয়ে কি ধরনের কীওয়ার্ডগুলি অন-লাইনে বেশী Search হচ্ছে এবং কোন ধরনের কীওয়ার্ড এর গুরুত্ব কতটুকু ইত্যাদি ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে আপনি যত সঠিক ও উপযুক্ত Keyword নির্বাচন করতে পারবেন আপনার পোষ্টটি Search  ইঞ্জিনের সবার শীর্ষে অবস্থান পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

২. Keyword Stuffing

অধিকাংশ ওয়েবমাষ্টারগণ মনে করে থাকেন একটি আর্টিকেল লিখার সময় প্রতিটি বাক্যের মধ্যে Keyword রাখতে পারলে ভিজিটর বেশী পাওয়া যাবে। যার ফলে দেখা যায় একজন আর্টিকেল পাবলিশার তার পোষ্টের অভ্যন্তরে অযথা অপ্রয়োজনীয় জায়গাতে Keyword ব্যবহার করছেন। এ ক্ষেত্রে একটি পোষ্টে অত্যাদিক বার Keyword ব্যবহারের কারনে Search  ইঞ্জিন পোষ্টটি স্প্যাম হিসেবে মার্ক করে নেয়। এতেকরে একজন আর্টিকেল পাবলিশার একটি ভালমানের পোষ্ট লিখা সত্বেও Search  ইঞ্জিন হতে ভাল ফলাফল পায় না। আপনি একটি আর্টিকেল লিখার সময় Keyword Density টা ৫% থেকে ৬% এর মধ্যে রাখার জন্য চেষ্টা করবেন।

৩. অপ্রাসঙ্গিক Keyword ব্যবহার

 অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন আর্টিকেল পাবলিশার খুব সুন্দর করে একটি post লিখেছেন কিন্তু তার এই পোষ্টটির জন্য যে Keyword নির্বাচন করেছেন সেটি না হয়ে অন্য keyword হওয়া উচিত ছিল। এ ক্ষেত্রেও পোষ্টটি Search  ইঞ্জিনে ভাল র‌্যাংক করতে পারে না। কারণ Search  ইঞ্জিন সবসময় চায় Keyword Related আর্টিকেল। স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করুন যে, আপনি “এন্ড্রয়েড” টপিক নিয়ে একটি post লিখছেন কিন্তু পোষ্টের ভীতরে এন্ড্রয়েড বিষয়ের চাইতে উইন্ডোজ বিষয়ে বিশী লিখা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আপনি পোষ্টটি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন। যদিও বিষয়টি আমার উদাহরনের মত হুবহু হয় না, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর কাছাকাছি হয়ে থাকে। এ বিষয়টি ভালভাবে মাথায় রাখতে হবে আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখছেন সেই বিষয়টিকে পোষ্টের ভীতরে বেশী প্রাধান্য দিতে হবে।

৪. Non-Original Content

কারও ব্লগ/ওয়েবসাইটের content কপি না করে নিজে যে বিষয়ে পরিপূর্ণ অভীজ্ঞতা রাখেন সে বিষয়ে ভালমানের ইউনিক কনটেন্ট লিখার জন্য আমি সবসময় জোড়ালভাবে সবাইকে পরামর্শ দিয়ে থাকি। কারণ ব্লগে ভিজিটর পাওয়ার জন্য সহজ ও প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ভালমানের ইউনিক কনটেন্ট। Search  ইঞ্জিনের আধুনিকায়নের ফলে সকল Search  ইঞ্জিনই এখন খুব সহজে copy করা আর্টিকেল মার্ক করে নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনি যত চালাকী করে অন্যের কনটেন্ট আপনার ব্লগে পাবলিশ করেন না কেন, আপনার ব্লগের কনটেন্ট Search  ইঞ্জিন খুব সহজে চিনে নিতে পারবে। আপনি যখন ব্লগে নিত্য নুতন unique কনটেন্ট ব্যবহার করবেন তখন এই কনটেন্ট আপনার ব্লগে ভিজির নিয়ে আসতে সক্ষম হবে। অন্যের blog থেকে কনটেন্ট কপি করে আপনার ব্লগে ব্যবহার করলে কোন ভাবেই সফল হতে পারবেন না।

৫. Title Tags ও Meta Descriptions ভূল করা

Search  ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে এ দুটি ট্যাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ Search  ইঞ্জিনে যখন কোন Keyword ব্যবহার করে কিছু Search  করা হয়ে থাকে তখন Search  ইঞ্জিন সর্বপ্রথম পোষ্টের Title Tag খোঁজে থাকে। এ ক্ষেত্রে Title Tag এর ভীতরে Keyword পেয়ে গেলে আপনার পোষ্টটি Search  রেজাল্টে সহজে চলে আসবে। অন্যদিকে Title Tag এর মধ্যে Keyword টি পাওয়া না গেলে তখন Search  ইঞ্জিন Meta Descriptions এর অভ্যন্তরে কীওয়ার্ডটি খোঁজে থাকে। যদি Meta Descriptions এর মধ্যে Keyword টি পাওয়া যায় তাহলেও Search  রেজাল্টে পোষ্ট স্থান পাওয়ার অধিক সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। সে জন্য আমি বলব এ দুটি অংশ লিখার সময় অবশ্যই আপনার কাঙ্খিত Keywords এর সমন্বয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে Title Tags এবং Meta Descriptions লিখবেন।

৬. Back Links না থাকা

Search  ইঞ্জিনের কাছে আপনার ব্লগের মূল্যবোধ বৃদ্ধিতে Back Links অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। অধিকাংশ bangla  ব্লগাররা এ বিষয়টিকে কোন গুরুত্ব দেন না। অথচ আপনার ব্লগটি যদি ভালমানের ওয়েবসাইট/ব্লগের সাথে link  করা থাকে তাহলে ঐ ওয়েবসাইট হতে আপনার ব্লগে Link Juice বয়ে নিয়ে আসবে। সে জন্য শুধুমাত্র নিয়মিত post করে বসে থাকলে হবে না। নতুন post করার পর আপনার পোষ্টটির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে এমন ভালমানের ব্লগের সাথে আপনার পোষ্ট বিভিন্ন যুক্তির মাধ্যমে ঐ ব্লগের সাথে লিংক করতে পারেন। এটি আপনার পোষ্টটিতে ট্রাফিক বৃদ্ধিতেও সক্রিয়ভাবে অবদান রেখে যাবে।

৭. Internal Links না থাকা

Blog পোষ্টের ভীতরে Internal Links না থাকাটা হচ্ছে আরেকটি Common Mistake. আপনি যদি এ বিষয়টি সবসময় এড়ীয়ে চলেন, তাহলে আমি বলব আপনি সবচাইতে বড় বোকামি করছেন। কারণ এ বিষয়টির জন্য কোন ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয় না। শুধুমাত্র post করার সময় আপনার নতুন পোষ্টটির সাথে কিছুটা মিল রয়েছে এমন post গুলি Anchor Text এর মাধ্যমে Link করে দিতে পারেন। এটি Search  ইঞ্জিন Crawler-কে আপনার নতুন পোষ্টটি দ্রুত Crawl করে Index হতে সাহায্য করবে। এ বিষয়টি যদিও আপনাকে সরাসরি Search  ইঞ্জিন হতে ভিজিটর এনে দিতে সক্ষম হবে না কিন্তু Search  ইঞ্জিন বা অন্য কোথা হতে আগত ভিজিটরদের ব্লগের অন্য পোষ্টগুলিতে ভিজিট করানোর মাধ্যমে দীর্ঘ সময় অবস্থান করিয়ে Page View বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।

৮. Non-Responsive ও Non-Mobile Friendly ডিজাইন

Google সম্প্রতি Mobile Friendly ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য তাগিদ দিচ্ছে। কারণ মানুষ এখন কম্পিউটারের অনেক কাজই মোবাইলের মাধ্যমে সেরে নেয়। তাছাড়া গুগল গত এপ্রিল/২০১৬ মাসে ঘোষনাও দিয়েছে যাদের ব্লগ Mobile Friendly নয়, তাদের ব্লগ/ওয়েবসাইট SEO এর ক্ষেত্রে অনেক বিরূপ প্রভাব পড়বে। আপনার ওয়েবসাইটটি যদি এখনো সেই পুরনো যুগের ন্যায় শুধুমাত্র কম্পিটার ভার্সন হয়ে থাকে, তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ছোট ডিভাইস হতে ভিজিটর পাওয়ার আশাই করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে আপনার ব্লগে বড় ধরনের ট্রাফিক পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। কাজেই একজন ভালমানের ওয়েব ডেভেলপারের মাধ্যমে আপনার ব্লগটি Responsive এবং Mobile Friendly ডিজাইন করে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

৯. Social Media ব্যবহার না করা

বর্তমান সময়ে সোসিয়াল মিডিয়ার ব্যবহার এতই ব্যাপাক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যে, সবাই ওয়েবসাইটে ট্রাফিক পাওয়ার ক্ষেত্রে social media সাইটগুলিকে বড় ধরনের সোর্স হিসেবে ব্যবহার করছেন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার পোষ্টগুলি ভালমানের সোসিয়াল মিডিয়াতে share না করেন, তাহলেও বড় ধরনের ট্রাফিক হতে বঞ্চিত হবেন। আপনার ওয়েবসাইটের নামে বিভিন্ন ধরনের social মিডিয়াতে একটি পেজ তৈরি করে ওগুলিতে পোষ্ট শেয়ার করে এ কাজটি করতে পারেন। তাছাড়াও সোসিয়াল মিডিয়াতে বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন করে আপনার পোষ্ট শেয়ার করার মাধ্যমে ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে পারেন।

১০. ট্রাফিক Analytics না করা

আপনার ব্লগে কোন্ ধরনের সোর্স হতে কি পরিমানে ট্রাফিক পাচ্ছেন এবং কি ধরনের কীওয়ার্ড এর মাধ্যমে Search  ইঞ্জিন হতে ট্রাফিক আসছে ইত্যাদি সম্পর্কে নিয়মিত পর্যালোচনা না করাটাও একটি Common Mistake. আপনি হয়ত বলতে পারেন এ বিষয়টি Search  ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সাথে জড়িত নয় বা ট্রাফিক বৃদ্ধিতে কোন অবদান রাখবে না। হ্যা, যদিও এটি ট্রাফিক বৃদ্ধিতে সরাসরি কোন অবদান রাখবে না, তবে এটি রিSearch  করার মাধ্যমে আপনার ব্লগের ট্রাফিক সোর্স, keyword সহ আরো বেশ কিছু বিষয়ে ধারনা নিয়ে ভবিষ্যতে আপনার কি করা উচিত বা কি ধরনের কীওয়ার্ড নিয়ে পোষ্ট করা প্রয়োজন সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারনা নিতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বহুল ব্যবহৃত এবং সবচাইতে জনপ্রিয় একটি টুলস হচ্ছে Google Analytics. আপনি ইচ্ছে করলে খুব সহজে এটি যে কোন ধরনের website কিংবা ব্লগে যুক্ত করে নিতে পারবেন। এই টুলসটি হতে খুব অল্প সময়ে একটি ওয়েবসাইটের বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যায়।

সর্বশেষঃ SEO সংক্রান্ত উপরের ১০ টি বিষয়  মাথায় রেখে একজন কনটেন্ট মার্কেটার বা online মার্কেটার তার ওয়েবসাইটটি যদি যথাযথভাবে পরিচালনা করতে পারেন, তাহলে তিনি খুব সহজে যে কোন ভালমানের ওয়েবসাইটের সাথে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিয়ে Search  ইঞ্জিন হতে পর্যাপ্ত ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন। একজন ওয়েবমাষ্টার যতক্ষণ পর্যন্ত এ ভূলগুলি সংশোধন করে আর্টিকেল পাবলিশ না করবেন, ততক্ষন পর্যন্ত তিনি Search  ইঞ্জিন হতে কিছুতেই ভালমানের ফলাফল পাওয়ার আশা করতে পারবেন না।

Credit https://www.banglatechblog.com/2020/04/seo-bangla-tutorial-common.html
Load Comments

Subscribe Our Newsletter

Notifications

Disqus Logo